মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
উৎসব ভাতা সংস্কারে বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানো হলেও, একই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ভাতা না বাড়ানোয় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে কর্মচারীদের মধ্যে।
কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম সচল রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অথচ উৎসব বোনাসের মতো মৌলিক সুবিধা থেকে কর্মচারীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক।
তারা বলেন, “শিক্ষক-কর্মচারী সবাই একত্রে কাজ করি, কিন্তু সুযোগ-সুবিধায় এত বৈষম্য কেন? সরকার যদি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়াতে পারে, তাহলে কর্মচারীদের কেন নয়।
এ সময় তারা অবিলম্বে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানান এবং তা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও কর্মবিরতির কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এসময় ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো:ফনিজুর রহমান জানান, আমাদের বেতন, ভাতা ও স্কেল বৈষম্য নজির বিহীন। পূর্বে বেতন স্কেল গ্রেড-১০ টি ভাগে বিভক্ত ছিল, তা বিগত সরকারের সময় গ্রেড- ২০ টি ভাবে বিভক্ত করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জীবন যাপনের নূণ্যতম নির্বাহ চিন্তা না করে মনগড়া বেতন সিদ্ধান্ত করেন।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি উৎসব ভাতা সংস্কারের ক্ষেত্রেও শিক্ষকদের ২৫% এর স্থলে ৫০% করা হয়েছে, কিন্তু কর্মাচারীদের উৎসব ভাতা ৫০% থেকে কোনো পরিবর্তন না করে চরম অবজ্ঞা ও অবহেলা করা হয়েছে।
এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে সকল বৈষম্য দুর করে সকলকে ১০০% উৎসব ভাতা প্রদানের দাবী জানাই।