বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ জামাল হোসেন খান
বরগুনা জেলা বেতাগী উপজেলা ৩নং হোসনাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি'র ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চায়,বিএনপি'র সাবেক
সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ধানের শীষ প্রতীক মনোনয়ন
পাওয়া জনাব মোঃ বেলাল হোসেন রাড়ি।
পিতা মৃত আব্দুল মজিদ রাড়ি। আমার পিতা একজন ধার্মিক সমাজ সেবক। হিসেবে কাজ করতেন, তাই আমি ও তাকে অনুসরণ করে বাবার আদর্শ কে ধরে রাখার জন্য ২৬ /২৭ বছর আগ থেকে সামাজিক কার্যক্রমে কাজে লিপ্ত হই আমার অদ্য এলাকা ৩নং হোসনাবাদ ইউনিয়ন। আমি বিগত দিনে গরিব দুখী মেহনতী মানুষের পাশে ছিলাম ও আছি তারি পাশাপাশি প্রতিটি মাদ্রাসার, মসজিদ, স্কুল, কলেজ, ও যুবকদের আনন্দ বিনোদন দেয়ার জন্য প্রায় সময় তাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়ে আসছি। ঐতিহাসিক গ্রামগঞ্জের ঘোড়ার দৌড়, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো, এই অবস্থায় দলের দুর্দিনে ২০১৬ সালে ৩নং হোসনাবাদ ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতীকে চেয়ারম্যান পদ ও প্রার্থী হিসেবে আমাকে বিএনপি'র পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করেন। বেতাগী থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জনাব মাকসুদুর রহমান ফোরকান চেয়ারম্যান পাঁচবারের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত ছিল।
তাহার সাথে কোন প্রতিদন্ধী প্রার্থী হতে রাজি এবং সাহস পাননি। সেই দুর্দিনে আমি প্রার্থী হয়ে অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েছি। নির্যাতিত হয়েছি আমার মা বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন হয়েছে। বিনিময়ে শুধু পেয়েছি তিরস্কার। ২০১৫ সালে যাত্রাবাড়ী গাড়ি পোড়ানো মামলায় খন্দকার
মাহবুব হোসেন স্যার এর সাথে মামলার আসামি হয়েছি। অসহযোগ আন্দোলনে ৫ দিন জেল খাটি এবং আড়াই লক্ষ টাকা বিনিময় ছাড়া পাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রভাব খাটিয়ে জনাব শাহিন মাস্টার নিজের সাইন ইন পাওয়ারের জোরে ২০২৩ সালের সাতটি ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করেন। ২০২৪ সালের লাস্টে হোসনাবাদ ইউনিয়নের কমিটি একদিন ফেসবুকে প্রকাশ পায়। দুর্ভাগ্য ইউনিয়নের কোন নেতাকর্মীরা জানতে পায়নি। কাউন্সিল করে কমিটি দেয়ার কথা থাকলে দেয়া হনি। ৫ই আগস্ট এর পর বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের সাথে রেখে কাজ করেনি, একাই কাজ করে যাচ্ছি ত্যাগী কর্মী দের নিয়ে বিএনপির হাল ধরে আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পরিণত হয়েছে। এটা কোনদিন পূরণ হওয়ার মত নয়। তারপরেও যারা এখন আমাকে বলে বিএনপির জন্য আমার কোন অবদান নেই তখন অনেক কষ্ট হয়। এদের মুখে এ কথা মানায় না। আমার লক্ষ্যবস্তু আল্লাহপাক যেন ভালো উদ্দেশ্যে পূরণ করেন। সকল মানুষের পাশে থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করতে চাই । আমি মারা গেলেও যেন ইতিহাস হয়ে থাকে, হোসনাবাদের বুকে। একটি ভালো মানুষ আমাদের এলাকায় ছিলো। আমাদের জন্য ভালো কিছু করতে চেয়েছিলেন। বিগত দিনে ঘরবাড়িতে ঘুমাইতে পারিনি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনি। সব সময় লাঞ্চনা বঞ্চনায় থাকতে হয়েছে। আজ আমাদের দলের বিএনপির নেতৃত্ব দেয়ার মতো লোকের কোন অভাব নেই। দলের সিনিয়ার পার্সন নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলবো, তারা যেন অবশ্যই দুর্দিনের নির্যাতিত নেতাদের মূল্যায়ন করেন।
এই প্রত্যাশা রাখি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের কাছে।
মোঃ তরিকুল ইসলাম কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
বাগেরহাট প্রধান কার্যালয়:
বাসস্ট্যান্ড আল আমিন হোটেল এর নিচে বাগেরহাট
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত