মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়ায় কোঁচ সম্প্রদায়ের বিহু উৎসব জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে রাংটিয়ার ঐতিহ্যবাহী কালিস্থান মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিলুর আহমেদ। প্রধান অতিথি ড. সৈয়দ জামিলুর আহমেদ বলেন, কোঁচরা হচ্ছে বীরের জাতি। তাদের ৯’শ বছরের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
এই ইতিহাসকে ধরে রাখতে হলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। তাহলে কোঁচদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত হবে। কোঁচদের অনেক দাবির কথা শুনে তিনি বলেন, অনেক দাবির কথা শুনেছি, এসব বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর একার পক্ষে সম্ভব না। একটা সংস্কৃতি দাঁড়াবে মনোবলে, অনুদানে না।
এজন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তখন সকলে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে দাঁড়াতে পারবে
আর এভাবেই কোঁচ জাতি এগিয়ে যাবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর শিল্পকলা একাডমির কালচারাল অফিসার আতিকুর রহমান, ট্রাইবাল ওয়েলফার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপুল হাজং, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উপপরিচালক এস এম শামিম আকতার, অরুণ কুমার রাংটিয়া কোঁচ সম্প্রদায়ের গ্রাম প্রধান, রাংটিয়ার কোঁচ নেতা যুগল কিশোর সহ আরো অনেকেই।
বিহু উৎসবের শুরুতেই ছিল অতিথি বরণ। এরপর ধাপে ধাপে আন্দাহুরা পূঁজা, ত্রিনাথ পূজার্চনা, অতিথিদের উত্তরীয় এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান, আলোচনা পর্ব, থুবুল মাগায়নি (বিহু উৎসবের প্রেক্ষাপট পরিবেশন), বিহু নৃত্য-সংগীত, উৎসব স্মারক প্রদানের মধ্য দিয়ে কোচদের জনপ্রিয় এ বিহু উৎসব শেষ হয়।
মোঃ তরিকুল ইসলাম কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
বাগেরহাট প্রধান কার্যালয়:
বাসস্ট্যান্ড আল আমিন হোটেল এর নিচে বাগেরহাট
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত