বাবুল রহমান রবিন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর একটি মাত্র বিবৃতি দিয়েছেন তিনি, তবে তারপর থেকে তার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বর সদৃশ বেশ কয়েকটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ছে, যা নিয়ে বিতর্ক চলছে। নেটিজেনদের দাবি, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করতে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ফোনালাপে শেখ হাসিনার সদৃশ কণ্ঠে কথোপকথন শোনা যায়। এতে তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুলকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন এবং বলেন, যারা তাদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়েছে, তাদের ঘরবাড়িও থাকবে না। ফোনালাপের অন্য প্রান্তে থাকা কণ্ঠটি শাকিল আলম বুলবুলের বলে দাবি করা হচ্ছে, যিনি বর্তমানে পলাতক।
ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার সদৃশ কণ্ঠে নেতাকর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফোনালাপে আরও শোনা যায়, “এবার একবার আসতে পারলে কেউ ফেলাতে পারবে না” এবং “২২৭টি হত্যার মামলা নিয়ে তালিকা করা হচ্ছে।”
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠ সদৃশ একজনকে বলতে শোনা যায়, “ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়িঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তাদের বাড়ি ঘর নেই? সব কথা কি বলে দিতে হয়?” এই ফোনালাপটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে। নেটিজেনরা বলছেন, এটি শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানকালীন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া নির্দেশনার একটি অংশ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই ফোনালাপটি শাকিল আলম বুলবুলের। তিনি এবং সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ভারতে পালিয়ে গেছেন এবং নেত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দিয়েছেন।