বাবুল রহমান রবিন
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় সদর উপজেলা বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের গৃহবধূ জান্নাতি হত্যা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসী ও স্বজনরা মানববন্ধন করেছে। আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার গ্রামবাসী ও স্বজনদের আয়োজনে মাঠের পাড় নামক এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিজাম, ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ, শাহ আলম, রাসেদুল ইসলাস ও গৃহবধূ দুই সন্তান ছুম্মা ও জাভেদসহ অন্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন , মিথ্যা হত্যার হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে স্বামী সোরহাবসহ তার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে গৃহবধুর জান্নাতির ছেলেমেয়েরাও বর্তমানে একদিকে যেমন মাকে হারিয়েছে অন্যদিকে বাবাকে মামলার আসামী করায় পালিয়ে থাকায় বাবার কমতি অনুভব করছেন। এদের দুটি ছেলে মেয়ে অযত্নে লালন পালন হচ্ছে। অবিলম্বে দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন গ্রামবাসী ও স্বজনরা।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় ডিস লাইনের তার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে জান্নাতী বেগমের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে স্বামী সোরহাবসহ তাঁর পরিবারের লোকজন গাড়ি ভাড়া করে মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয় জান্নাতীর মরদেহ।
এ ঘটনার ৭ দিন পর মৃত জান্নাতী বেগমের মামা ছকু মিয়া বাদী হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর স্বামী সোরহাব হোসেনসহ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, বিদ্যুতায়িত নয়, বিয়ের পর থেকেই জান্নাতীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। তাঁকে মারপিট করে হত্যার পর বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর নাটক সাজানো হয়।
মামলার বাদী ছকু মিয়ার অভিযোগ, জান্নাতীর মরদেহ নিয়ে আসার পর গোসল করার সময় গলা, বাম পাঁজর ও বাম হাতে রক্তাক্ত জখম দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত কিছু লোকজনের কাছে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জান্নাতীর মরদেহ দাফন করা হয়। মূলত মারধর ও নির্যাতনের কারণেই জান্নাতীর মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগে মামলা ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।এরপর দাফনের ২৫ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে এক নারীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।