সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:
উন্নত বিশ্বকে আমাদেরকে খাদ্য,ভূমি,জল,ও জলবায়ু ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে। জমি, খাদ্য, পানি মানুষের জন্য মুনাফার জন্য নয়। টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সোমবার(২১অক্টোবর)দুপুরে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারিতে পশুর নদীর পাড়ে ক্ষুদ্র কৃষক, ক্ষেতমজুর, দিন মজুর, জেলে,বাওয়ালি, মৌয়ালী, বনজীবী, মৎস্যজীবী ও নারীদের অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসুচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়।
এ কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। অবস্থান কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারীনেত্রী কমলা সরকার, তন্বী মন্ডল, চন্দ্রিকা মন্ডল, ইয়ুথ লিডার হাসিব সরদার, প্রদীপ সরকার, মার্টিন সরকার প্রমূখ।
বক্তারা আরো বলেন বাংলাদেশ সরকারকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার পদক্ষেপ নিতে হবে। লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলের কৃষি, পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণীজ আমিষ মৎস্য সম্পদকে রক্ষা করতে হবে। নদী ভাঙ্গনে বাস্তুচ্যুত এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন বিশ্ব বাজার নয়, জনগণের খাদ্যের জন্য টেকসই খাদ্য ব্যবস্থায় অর্থায়ন করুন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য ও জলবায়ু সংকটের জন্য উন্নত দেশগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।
উল্লেখ্য,২১থেকে ২৫ অক্টোবর জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিএফএস) এর ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে খাদ্য অধিকারের নির্দেশিকা নিয়ে রোমে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসভাকে কেন্দ্র করে এশিয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মোংলায় খাদ্য, ভূমি, জল ও জলবায়ু ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাপনা রূপান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। খাদ্য উৎপাদন ও সংগ্রহের সাথে জড়িত শতাধিক কৃষক, ক্ষেত মজুর, দিন মজুর, জেলে, মৎসজীবী,বনজীবী ও নারীরা এই অবস্থান কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেন।